কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের একটি অঞ্চল ব্রিটিশ আমলেই নজর দেয় শিল্পের দিকে। গড়ে উঠতে থাকে নানা প্রতিষ্ঠান। জেলাটির নাম কুষ্টিয়া। কৃষি আর শিল্পের সম্মিলন এই জেলাটিকে আর্থিকভাবে করেছে সমৃদ্ধ। খুলনা বিভাগের এই জেলাটি এক দশক আগেও ছিল দেশের সবচেয়ে কম দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা। কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জ পেছনে ফেলেছে একে। এখানে দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশ মাত্র। ঢাকা শহরেও এই হার ১৭ এর বেশি। এতেই বোঝা যায় এই জেলার মানুষদের আর্থিক মেরুদণ্ডটা কতটা শক্ত।
এই জেলায় বৃহৎ শিল্প আছে ১২০ টি, মাঝারি শিল্প আছে ২৩০ টি, ক্ষুদ্র শিল্প আছে ৬ হাজারের বেশি, কুটির শিল্পের সংখ্যা ২২ হাজারের বেশি। বৈদ্যুতিক তার তৈরির বিআরবি কেবলস কারখানা এই জেলায় অবস্থিত। জেলার কুমারখালি উপজেলায় গড়ে উঠেছে উন্নতমানের ফ্রেব্রিকস শিল্প। ভেড়ামারা উপজেলায় ৫০০ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে ইকোনমিক জোন। সেখানে শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠবে।
দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছে তামাক শিল্প। খাজানগর এলাকায় আছে ৪০০ অটো এবং হাস্কিং রাইস মিল। এখানে দেশের ৩০ শতাংশ চাল প্রক্রিয়াজাত হয়। জেলায় গড়ে উঠেছে অনেক আটা ময়দার মিলও। এখানে আছে আখ শিল্পও। এখানে কুটির শিল্পে নির্মিত তিলের খাজা আর ঘি সারা দেশেই সমাদৃত।
0 মন্তব্যসমূহ